শামীম কাদির : গানে গানে সুরে সুরে, আওয়াজ তোলো প্রাণে প্রাণে- স্লোগানে শুরু হয়েছিল জয়পুরহাট সেরাকণ্ঠ। তারুণ্যের উৎসবে জয়পুরহাটে সেরাকণ্ঠ গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাতে শহরের সার্কিট হাউজ মাঠে জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার চৌধুরী।
জেলার ৫টি উপজেলার ৩ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সাত মাসের লড়াই শেষে ক-বিভাগে উঠে আসে মোহন, আকাশ মন্ডল, অনুপ কুমার মালী, শামীম রেজা রিফাত, সুদিপ্ত সরকার অংকিত। চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ক্ষেতলাল উপজেলার মোহন।খ-বিভাগে উঠে আসে হাফিজুর রহমান, কনিকা দেবনাথ, মাহমুদুন নবী সনি, রেজাউল ইসলাম, মোমিনুর রহমান।চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আক্কেলপুর উপজেলার হাফিজুর রহমান।
বিচারকের আসনে আসীন ছিলেন খুরশিদ আলম ফাহমিদা নবী ও মিঠু হাসান।এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)বিপুল কুমার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সবুর আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তৃপ্তি কণা মন্ডল, কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম, মিজানুর রহমান, উজ্জ্বল বাইনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।
জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার চৌধুরী জানান, জয়পুরহাট জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক প্রতিভা রয়েছে, যারা সুযোগের অভাবে তাদের প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পান না। এজন্য জেলার ৩২টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভা খুঁজে বের করে আনার জন্য এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তিনি আরও জানান, দুই বিভাগের চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা ও ট্রফি, ১ ম রানার্স আপরা ৩০ হাজার টাকা ও ট্রফি ২য় রানার্স আপরা ২০ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ১০ হাজার টাকা। সেই সাথে প্রত্যক জন সনদ পেয়েছেন।
সত্যেরপথে.কম/এবি
আপনার মতামত লিখুন :