শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হলেও আপাতত বিদ্যালয়ের সময়সূচি পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, সপ্তাহের ছয় দিনে পাঠদানের যে কাজ সম্পন্ন করা হতো, তা পাঁচ দিনেই সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার (২২ আগস্ট) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুই দিন ছুটির সরকারি সিদ্ধান্তের পর বিকেলে রাজধানীর ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও সাপ্তাহিক ছুটি ওই দুই দিন হবে। তবে বর্তমানে বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস ক্লাসের পরিবর্তে পূর্ণদিবস ক্লাস হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমনিতেই আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে (নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী) সপ্তাহে দুই দিন ছুটি থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার পরিকল্পনা ছিলই। কেউ কেউ বলেছিলেন বৃহস্পতি ও শুক্রবার বন্ধ রাখা যায় কি না। কিন্তু আজকাল অনেক মা–বাবা কর্মজীবী। তাদের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় রেখে শুক্র ও শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সব চাকরিজীবী সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করেন। শুধু শিক্ষকেরা ছয় দিন কাজ করেন। কাজেই শিক্ষকেরাও যদি পাঁচ দিন কাজ করেন, তাহলে অনেক বেশি শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
চলমান বিদ্যুৎ–সংকট এই ছুটি কাজে দেবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, কিছুটা তো কাজে দেবেই। ঢাকা শহরে যে পরিমাণ যানবাহন চলে, তার একটা বিরাটসংখ্যক যানবাহন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক।
আপনার মতামত লিখুন :